দেওয়ানী কার্যবিধি ১৯০৮, যা সকল দেওয়ানী বা সিভিল মোকদ্দমা পরিচালনার প্রক্রিয়া সম্বন্ধে আলোচনা করে থাকে। যেকোনো ধরনের সিভিল বা দেওয়ানী আইন বলে আপনি কোন অধিকার পেয়ে থাকলে সেটি কিভাবে আদায় করবেন বা রক্ষা করবেন বা দাবী করবেন সেটি বলা আছে দেওয়ানী কার্যবিধিতে। দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ সালের ৫ নং আইন। দেওয়ানী কার্যবিধি প্রণয়ন করা হয় ১৯০৮ সালে; কিন্তু এটি কার্যকর করা হয় ১৯০৯ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে। অ্যাডভোকেট তালিকাভুক্তির নৈর্ব্যক্তিক (এমসিকিউ) পরীক্ষা, ২০১৭ এ প্রশ্ন এসেছিল যে, দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ কার্যকর হয় কত সাল হতে? যার উত্তর হচ্ছে, হয় ১৯০৯ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে।
আবার, দেওয়ানী কার্যবিধি সর্বপ্রথম বিধিবদ্ধ হয় ১৮৫৯ সালে।
জুডিসিয়াল সার্ভিস প্রিলিমিনারী পরীক্ষা-২০১৩ এ প্রশ্ন এসেছিল যে, সর্ব প্রথম কখন সিভিল কোড সংক্রান্ত পদ্ধতিগত আইন কোডিফাইড হয়?- উত্তর উপরের লাইনেই দেখতে পাচ্ছেন নিশ্চয়ই।
দেওয়ানী কার্যবিধি সর্বশেষ সংশোধনী হয় ২৫ জানুয়ারি, ২০১৭ সালে।
দেওয়ানী কার্যবিধি ধারা
দেওয়ানী কার্যবিধিতে মোট ধারা ১৫৮টি। দেওয়ানী কার্যবিধির ধারাসমূহ শুধুমাত্র জাতীয় সংসদ সংশোধন করতে পারে।
দেওয়ানী কার্যবিধিতে মোট অর্ডার বা আদেশ ৫১টি।
দেওয়ানী কার্যবিধি একটি পদ্ধতিগত আইন বা ইংরেজিতে যাকে বলে Procedural Law বা Adjective law
দেওয়ানী কার্যবিধিতে মোট ৫টি তফসিল তবে বর্তমানে বলবৎ আছে ৩ টি।
প্রথম তফসিলে আদেশ ও বিধিসমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যেখানে মোট ৫১টি আদেশ আছে। প্রত্যেক আদেশের অধীন বহু বিধি রয়েছে। দেওয়ানী কার্যবিধির প্রথম তফসিলে উল্লেখিত আদেশ এবং বিধিসমূহ সংসদ এবং সুপ্রীম কোর্ট উভয় সংশোধন করতে পারে।
দ্বিতীয় তফসিলটি বাতিল।
তৃতীয় তফসিলে কালেক্টর কর্তৃক ডিক্রি জারি নিয়ে বলা হয়েছে।
চতুর্থ তফসিলে সংশোধিত আইনসমূহ নিয়ে।
পঞ্চম তফসিল আবার বাতিল।
দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা এবং বিধির মধ্যে যদি কোন অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয় তবে ধারা বহাল থাকবে।
0 Comments